Shop

Category

Search

Home

মহান সৃষ্টিকর্তা নানাভাবে আমাদের বরকতের জন্য আশেপাশেই অসংখ্য নেয়ামত দিয়েছেন।

এর মধ্যে মধু একটি যার উপকারিতা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ভাবভঙ্গি যাই হোক, এতে কারো সন্দেহ নেই যে নিয়মিত ও পরিমিত মধু সেবন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

দুর্ভাগ্যবশত লোভ কিংবা অশুভ চিন্তা থেকে খাবারে ভেজাল মেশানো আমাদের একটি জাতীয় সমস্যা। আমরা নিজ সম্মতিতেই খাঁটি মধু বলে বাণিজ্যিকভাবে ঘোষণা দিয়ে থাকি অথচ বহির্বিশ্বে অর্গানিক মধু না হলে সেটিকে ইনোরগানিক / অপ্রাকৃতিক ( artificial/synthetic ) বলে ডিক্লেয়ার করা হয় ।

আমরা মধু নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ি , যেমনটি কোনটি ভালো কোনটি মন্দ – আসুন, আমরা জেনে নেই মধুর ভালো-মন্দ নিয়ে কিছু ফ্যাক্ট

পাতলা বা ঘন কোনটি ভালো মধু

এটি আসলে পুরোপুরি নির্ভর করে ফুলের উৎস (নেকটার) ,আবহাওয়া , তাপমাত্রা এবং মৌচাকের বয়স ; যেমনটি নতুন মৌচাকে আপনি পাতলা মধু পাবেন, মৌচাকের বয়স যত বাড়তে থাকে, মধু তত ঘন হতে থাকে। অর্থাৎ, মধুর ঘনত্ব থেকে এর গুনাগুন বিচার ভুল হবে।

মধুতে দানা জমা (যেটা স্ফটিকায়ন প্রক্রিয়া হিসেবে পরিচিত )

– যদিও এটি মধুর রকম ভেদে হয়ে থাকে – মধুতে দানা জমে যাওয়া সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক/স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং এটি মধুর গুণমান প্রভাবিত করে না। আপনি এই অবস্থায় এটি খেতে পারেন। দানাদার মধুকে তার পরিষ্কার তরল অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য, কেবল একটি গরম পানিতে (৪০-৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড) জারটি রাখুন। মধু অতিরিক্ত গরম করলে এতে থাকা প্রাকৃতিক এনজাইম এবং পুষ্টিগুন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এই প্রক্রিয়া ফুলের রকমভেদে আগে পরে প্রভাবিত হয়। ঠান্ডা তাপমাত্রা স্ফটিকের হারে গতি বাড়ায় (বিশেষত ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে), উষ্ণ জলবায়ুতে (যেখানে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা অধিক), মধু তার স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে।

ঘরে বসেই আপনি আপনার মধুর গুন গত মান যাচাই করতে পারবেন।

হানিকম্ব প্যাটার্ন

একটি সাদা পাত্রে ২/৩ চা চামচ মধু ঢেলে তাতে এমন পরিমান পানি আস্তে করে ঢালুন যাতে মধুটি ডুবে যায়। এখন আপনি পাত্রটি হাতে নিয়ে ঘুরাতে থাকুন ( যাতে পানি বৃত্তাকার ভাবে ঘুরতে থাকে- যেটা আমরা কিছু মেশাতে গেলে করে থাকে); কিছুক্ষনের মধ্যেই মধুর চাকের (honeycomb) সেই (hexagonal) প্যাটার্ন টি দৃশ্যমান হবে (ছবিতে যেমনটি দেখা যাচ্ছে)।

Leave a Reply